কুমিল্লায় হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় সেনা ক্যাম্প কমান্ডার প্রত্যাহার, কী ঘটেছিলো সেখানে
কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক যুবদল নেতা মো. তৌহিদুল ইসলামের (৪০) মৃত্যুর ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সেনা ক্যাম্পের কমান্ডারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৩০ জানুয়ারি রাত ৩টায় তৌহিদুল ইসলামকে আটক করা হয় এবং পরদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক ঘটনার সঠিক কারণ উদ্ঘাটনে উচ্চপদস্থ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সেনা আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তৌহিদুল ইসলামের ভাই আবুল কালাম জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে সেনাবাহিনীর তিনটি গাড়ি ও একটি লাল রঙের গাড়ি তাদের বাড়িতে আসে এবং তৌহিদুলের কাছে অস্ত্র থাকার অভিযোগে তাকে ধরে নিয়ে যায়। পরদিন বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ পরিবারকে জানায়, তাকে গোমতী পাড়ের গোমতী বিলাশ নামক স্থান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে তারা তৌহিদুলের লাশ দেখতে পান, যার শরীরে বেদম মারধরের আঘাতের চিহ্ন ছিল।
তৌহিদুল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসী কুমিল্লা প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন। তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচার দাবি করেছেন। তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী ইয়াসমিন নাহার বলেন, "আমার মেয়েগুলো এতিম হয়ে গেল। যারা আমার স্বামীকে মেরেছে তাদের কি মা নাই, বোন নাই? তারা কেন ওকে মারল- আমার এটাই প্রশ্ন। আমি দেশবাসীর কাছে বিচার চাই।"
বিএনপি ও দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই ঘটনার বিচার দাবি করেছেন।এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।